ধাড়ি ইঁদুর (বা ধেড়ে ইঁদুর) বাংলাদেশের সবচেয় বড় আকারের ইঁদুর এর বৈজ্ঞানিক নাম Bandicota indica [২] একে কখনও কখনও বড় ইঁদুর বা বড় ধাড়ি ইঁদুর নামেও অভিহিত করা হয় এটি বিবরবাসী, নিশাচর জীব জনপদের কাছাকাছি থাকতে ভালবাসে
বহিরাঙ্গ[সম্পাদনা]
ধাড়ি ইঁদুরের কান মাঝারি আকারের, আকৃতি গোলাকার এর লেজের দৈর্ঘ্য মস্তকসহ দেহের সমান গায়ের লোম রুক্ষ, কিছু অংশকণ্টকাকীর্ণ পৃষ্ঠদেশের মধ্যবর্তী স্থানে দীর্ঘ কালো রঙয়ের চুল থাকে যে জন্য কালচে বাদামী দেখায় দেহের পাশ্র্ব ধূসরাভ, দেহতল ধূসরাভ বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে মস্তকসহ দেহের দৈর্ঘ্য ২১ থেকে ৩৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে লেজের দৈঘ্র্য ১৬ থেকে ৩৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত দেখা গেছে
বিস্তৃতি[সম্পাদনা]
গ্রামে এবং শহরাঞ্চলে এদের প্রচুর দেখা যায়, দেখা যায় আবাদি জমি এবং অগভীর জঙ্গলে সুন্দরবন বাদে বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায় এছাড়া ভারত, চীন, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, মালযয়শিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা, তাইওয়ান ও থাইল্যাণ্ডে এই ইঁদুর প্রচুর দেখা যায় মরুভূমি ও পার্বত্য অঞ্চলে লভ্য নয় এর মানব জনপদের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে বাগান, আস্তাবল, পোষা প্রাণীর খোঁয়ার, রান্না ঘর, ভাাঁড়ার ইত্যাদি স্থানে এদের ঘোরাফেরা
খাদ্য[সম্পাদনা]
এরা নানা অমেরুদণ্ডী প্রাণী যেমন পোকামাকড়, কাঁকড়া খেয়ে থাকে তবে ধাড়ি ইঁদুর সর্বভূক বলে খ্যাত: যা পায় সবই খায় শাক-সব্জি, ঘাস, শেকড়-বাকড়, গৃহের পরিত্যাক্ত খাদ্য বস্তু, মাটির নিচের আলু, গাজর, মূলা, ধান-চাল, শামুক ইত্যদি সবই এরা সাগ্যহে গলধকরণ করে [৪]
প্রজনন[সম্পাদনা]
ধাড়ি ইঁদুরের প্রজনন মৌসুম সারা বছর ধরে ব্যাপ্ত প্রতিবারে একটি মাদি ইঁদুর ১ থেকে ১৯ পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করে গুদামের বাৎসরিক হিসাব থেকে দেখা যায় যে একটি মাদি ইঁদুর বৎসরে গড়ে প্রায় ৭০টি বাচ্চা প্রসব করে.
to know more click this link
No comments:
Post a Comment